স্বদেশ ডেস্ক: শীত কিংবা গ্রীষ্ম, চায়ের কদর সবসময়ই। অনেকেই আছেন যাদের দিনের সকালটা শুরুই হয় চায়ে চুমুক দিয়ে। আবার কাজের ফাঁকে ক্লান্তি দূর করতেও চায়ের জুড়ি মেলা ভার। তবে চা পানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জনের পছন্দ বিভিন্ন রকম। এ ক্ষেত্রে ফিগার সচেতনরা গ্রিন টি বা সবুজ চা পান করতে পছন্দ করেন। অনেকে আবার লেবু চা খেতে বেশি ভালোবাসেন। এখন প্রশ্ন হলো- আপনি যে চা পান করুন না কেন, এ দুটোর মধ্যে কোন চা বেশি স্বাস্থ্যকর? বিশেষ করে যারা সকালে চা পান করতে পছন্দ করেন তাদের কোন চা পান করা উচিত?
ভারতের লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই অবলম্বনে জেনে নিন লেবু চা নাকি গ্রিন টি, কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর?
লেবু চা পান করার উপকারিতা
লেবু ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। এটি আমাদের বডি ডিটক্সের জন্য খুব উপকারি। এটি একটি লো-ক্যালোরি ফুড, যা ওজন কমাতেও সহায়তা করে। আবার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্যও লেবু চা অত্যন্ত উপকারি, যা ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়ায়।
এখানেই শেষ নয়, লেবু চা পান করলে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ-এর ঝুঁকি হ্রাস হয়। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ এবং ভাইরাস সংক্রমণ থেকেও স্বস্তি পাওয়া যায়।
গ্রিন টি পান করার উপকারিতা
গ্রিন টি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ওয়েট লস পানীয় হিসেবে বিবেচিত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এই সবুজ চায়ে রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন খনিজ উপাদান যা প্রতিটি মানুষের শরীরেই প্রয়োজন৷
গ্রিন টি পান করলে ভাইরাস এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। এটি হৃদরোগ এবং অস্টিওপরোসিসসহ অনেক রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, গ্রিন টি পান করলে তা শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
লেবু চা নাকি গ্রিন টি – কোনটি সেরা চা?
উভয় চা-ই প্রাকৃতিক এবং ভেষজ। তাই এই দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। লেবুর রসে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফলে এটি শরীরকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম করে। তবে অনেকেরই সকালে অ্যাসিডিক খাবার গ্রহণের ফলে অ্যাসিডিটি এবং গ্যাসের সমস্যা হয়। এমন ব্যক্তিদের এই চা পান করতে সমস্যা হতে পারে।
অন্যদিক, গ্রিন টি-তে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট পাওয়া যায়। এটি এমন একটি উপাদান যার মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য থাকে। তাই এটি শরীরের জন্য খুব ভালো।